কোচবিহারের পর বারাসতেও শুভেন্দুর ওপর হামলার অভিযোগ
কোচবিহারের (Cooch Behar) পর এবার বারাসত (Barasat)। ফের শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ওপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!
বুধবার উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। চাঁপাডালি মোড়ে বিজেপির 'নারী কল্যাণ যাত্রা'কে কেন্দ্র করে রীতিমতো অশান্তি, হাতাহাতি ও জুতো ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে (WBP)।
ঘটনাস্থল ছিল আইএনটিটিইউসি (INTTUC) পার্টি অফিসের সামনের এলাকা। বিজেপি (BJP) এবং তৃণমূল (TMC) — দুই শিবিরই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে। বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারীকে লক্ষ্য করেই হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল। অন্যদিকে, তৃণমূলের পাল্টা দাবি, প্রথমে বিজেপির মিছিল থেকেই আইএনটিটিইউসি কার্যালয়ের সামনে থাকা কর্মীদের ওপর চড়াও হয় বিজেপি সমর্থকেরা।
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে পৌঁছতেই মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘‘কোচবিহারে যেটা করতে পারেনি তৃণমূল, সেটাই এখানে করার চেষ্টা করেছে। তিন-চার জনের একটি দল শুভেন্দু অধিকারীকে মারার চেষ্টা করে। পুলিশের সামনেই ঘটনাগুলি ঘটলেও তারা কার্যত নীরব দর্শক ছিল।’’
তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, বিজেপির মিছিল থেকেই আইএনটিটিইউসি কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তাঁদের কর্মীদের ওপর প্রথমে হামলা চালানো হয়। এতে একজন আহত হন, যাঁকে পরে পুলিশ ও তৃণমূল কর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে যান।
বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আজকের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য তৃণমূল সব রকম চেষ্টা করেছে। মানুষ এবার ঠিক করে নিয়েছে, তৃণমূলকে উৎখাত করতে হবে। ট্রেড ইউনিয়নের ছত্রছায়ায় যে গুন্ডাগিরি চলছে, তা এবার আর বরদাস্ত করা হবে না।’’
প্রসঙ্গত, এর আগের দিন কোচবিহারের ঘোকসাডাঙার খাগড়াবাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।