কেন্দ্রীয় পথ খুলতে উদ্যোগী বিস্তা, মমতাকে ‘অনুরোধ’ চিঠি দার্জিলিঙের সাংসদের |
এখনই দুর্যোগ থামছে না উত্তরবঙ্গে, সোমবার এই ৮ জেলায় ঝড়জলের আশঙ্কা! কবে থেকে কমবে বৃষ্টি?
এখনই দুর্যোগ থামছে না উত্তরবঙ্গে
একটানা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ (North Bengal Weather)। টানা দু’দিন ধরে প্রবল বর্ষণে থমকে গিয়েছে পাহাড় থেকে সমতল- দু’দিকের জীবনযাত্রা। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের একাধিক এলাকায় রাস্তাঘাট ভেসে গিয়েছে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বহু মানুষ এখন ঘরছাড়া। পাহাড়ি এলাকায় ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। তিস্তা, তোর্সা, মহানন্দা, জলঢাকা-সহ একাধিক নদীর জলস্তর বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবারও উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে, আর দার্জিলিং ও কালিম্পঙের মতো পাহাড়ি এলাকায় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। জারি করা হয়েছে ‘হলুদ সতর্কতা’। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি বর্তমানে বিহার ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। যদিও সেটি এখন অনেকটা দুর্বল, তবে তার প্রভাবে রবিবার উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ‘লাল সতর্কতা’ জারি ছিল, আর দার্জিলিং, কালিম্পঙে ‘কমলা সতর্কতা’।
ভারী বর্ষণের ফলে শিলিগুড়ির পোড়াঝাড় এলাকায় মহানন্দা নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে। ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে, বহু মানুষ আশ্রয়হীন। জলদাপাড়ায় হলং নদীর সেতু ভেঙে পর্যটকরা আটকে পড়েছেন স্থানীয় লজে। কোচবিহার শহরের অন্তত ২০টি ওয়ার্ড জলমগ্ন, কোথাও হাঁটু জল, কোথাও কোমর সমান।
দার্জিলিং জেলাতেই এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সিকিম, অসম, মেঘালয়েও ভারী বৃষ্টির প্রভাবে একই চিত্র দেখা গিয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলে ধসের ঝুঁকি আরও বাড়ছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তবে কিছুটা আশার খবর, মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমতে শুরু করবে বলে পূর্বাভাস। আপাতত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজে নেমেছে। বৃষ্টি কমলেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা।