ভাঙা গাড়ির কাচ
এসপি অফিস অভিযানে যোগ দিতে কোচবিহারে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি খাগড়াবাড়ি পৌঁছতেই হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে চোর স্লোগান তোলে একদল। শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো হয়ে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট, ভাঙে কাচ। সব মিলিয়ে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ঘটনার পরই মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিপিকে চিঠি লেখেন শুভেন্দু।
দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে রওনা হন কোচবিহারের উদ্দেশে। যাত্রাপথে বিভিন্ন এলাকায় তাঁর কনভয় বিক্ষোভের মুখে পড়ে। তবে খাগড়াবাড়িতে অশান্তি চরম আকার নেয়। শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে ‘চোর’ স্লোগান তোলে একদল। কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁকে। একইসঙ্গে ছোড়া হয় ইট, বাঁশ। যার জেরে ভাঙে বিরোধী দলনেতার গাড়ির কাচ। পুলিশের উপস্থিতিতেই রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন শুভেন্দু। বিক্ষোভের পর কোচবিহারের গিয়ে গোটা ঘটনা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেন, হামলার নেপথ্যে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা।
এদিনের ঘটনায় একরাশ ক্ষোভ উগড়ে গিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতার যাত্রাপথে ১৯ জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ ছাড়া এটা হতে পারে না।” এদিকে ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই বলেই দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের। যদিও কোচবিহারকে বিজেপি মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তবে কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও কীভাবে এই হামলা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সবমহল।