কল্যাণের চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করে শ্রীরামপুরে সুকান্ত
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করে বুধবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) শ্রীরামপুরে ঢুকলেন এবং বাইক মিছিলও করলেন। বুধবারের এই বাইক মিছিল থেকেই কল্যাণকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ (Kalyan Sukanta) তো ছুড়লেনই তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে তামাশা করতেও ছাড়লেন না।
ক'দিন আগেই সুকান্তকে বিঁধে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদকে বলেছিলেন, "কল্যাণের ক্ষমতা ওরা আগে দেখেছে। শ্রীরামপুরে নরেন্দ্র মোদী এসেও কিছু করতে পারেন না। ওরকম সুকান্ত আমার পায়ের তলায় থাকে। হিম্মত থাকলে আসুক শ্রীরামপুরে। ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেব। এক বাপের ব্যাটা হলে সিআইএসএফ দিয়ে গুলি করত। ওরা হিংসার রাজনীতি ছাড়া কিছু করে না। তুই ডান্ডা নিয়ে আয়। দেখিয়ে দেব ডান্ডা দিয়ে কী করতে হয়? একটা হরিদাস লোক।"
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির উদ্দেশে তিনি আরও বলেছিলেন, "সুকান্ত মজুমদার বলেছিল এসআইআর নিয়ে প্রতিবাদ করলে গুলি করে মারব। একটা গুলি করুক, ওকে ঘরে ফিরে যেতে হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে গুলি করুক দেখুক। আমি ওর মতো ক্ষ্যাপা শেয়ালের পিছনে ঘুরে বেড়াই না। আমাকে খুঁজলে ওভাবে পাবে না। ওর কাজ নেই। ও ৪২০ বেকার ছেলে। কাল তো আমার সঙ্গে বিমানে দেখা হল ওর। তখন বলতে পারত ও আসবে। আমি ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করি না। মোদী না থাকলে কুকুর বিড়াল এদের নিয়ে চলে যাবে।"
সুকান্ত এদিন চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করে শ্রীরামপুরে যান। বাইক মিছিলও করেন। তারপর কর্মী সমাবেশ থেকে বলেন, শ্রীরামপুরে লোকজন আজ কল্যাণের দম্ভ ভাঙতে এখানে এসেছেন এবং তাঁরা ‘ছুঁচো’দের ভয় পাবে না। বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ছুঁচোদের ভয় পেয়ো না। তিনি আরও দাবি করেন, জেলা-সহকার্যে সক্রিয় কর্মীরা মাঠে আছেন এবং ‘এসআইআর’ নিয়ে তৃণমূল যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তা তিনি উল্টে দিচ্ছেন।
সুকান্ত বলেন, কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের দম্ভ চূর্ণ করে যাঁরা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন তাঁদের কুর্নিশ। একটাই বার্তা, আজ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের মতো ছুঁচোদের ভয় পাবেন না, এদের মাড়িয়ে যেতে হয়। কল্যাণ কল্যাণ ডাক পারি, কল্যাণ গেল কার বাড়ি। আয় কল্যাণ দেখে যা বিজেপির ক্ষমতা ৷ কুকুর মুগুড়ের ভক্ত।
বিজেপি নেতার কথায়, "আজ কর্মীরা ঝান্ডা ডান্ডা দুই-ই এনেছে। রাস্তার চারদিকে দেখতে দেখতে আসছিলাম কোথায় কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে। কিন্তু ময়দানে আজ কেউ নেই। সারাজীবন আমরা মাঠে ঘাটে থেকেছি। ফাঁকা কলসি কোর্টে বাজে বেশি।"