ঘাটালে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
২০২৬-এ উল্টো খেলা হবে, তার আগে ভোটার লিস্টের খেলাটা সামলান। স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে ঘাটালে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। রাজ্যে যে এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন শুরু হতে বেশিদিন বাকি নেই, তা মোটামুটি স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এই আবহেই মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর।
এদিন ঘাটালে গিয়ে মাস্টারপ্ল্যান সহ একাধিক ইস্যুতে কথা বলেন শুভেন্দু। বক্তব্যের মাঝেই তিনি বলেন, “ নির্বাচন কমিশনের SIR-এর খেলাটা আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামলান, তারপর খেলা হবে- খেলা হবে করবেন।” পূর্ব ঘোষণা মতোই এদিন ঘাটালের মনসুকায় প্লাবিত এলাকায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু বলেন, “ভারতে সংবিধানই শেষ কথা বলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না। সবাইকে সংবিধান মেনে চলতে হবে। সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা রয়েছে। কোনও মৃতের নাম,ডুপ্লিকেট নাম, অস্তিত্বহীন নাম থাকবে না। রোহিঙ্গাদের নামও থাকবে না। বাংলাদেশি-মুসলমান থাকবে না।”
এদিন লালকেল্লা থেকে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন, অনুপ্রবেশকারীদের জন্য দেশের জনবিন্যাসে প্রভাব পড়েছে। এই প্রসঙ্গ তুলে এদিন রাজ্যে অনুপ্রবেশ নিয়েও সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৪০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেওয়ার জন্য জমি দেয়নি, তাই বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলমানরা আমাদের রাজ্যে এসে জমি নিচ্ছে।”
এছাড়াও ঘাটালের পরিস্থিতি নিয়েও সরকারকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। প্রতি বছর বন্যা ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্য সরকারকে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও ঘাটালের সাংসদ দেব কেও তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। শুভেন্দুর আশ্বাস, ২০২৬-এ বিজেপি ক্ষমতায় এলে তবেই হবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। তিনি আরও বলেন, “ওর সব কীর্তি আমার কাছে এসেছে, দুবাইতে যা করেছে, সব তথ্য আমার কাছে এসেছে, এসব পরে বলব।” এলাকার সাংসদ দেব সম্পর্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, “ওর সব কীর্তি আমার কাছে এসেছে, দুবাইতে যা করেছে, সব তথ্য আমার কাছে এসেছে, এসব পরে বলব।”