খুলল শিলিগুড়ি-সিকিম লাইফ লাইন, যান চলাচল চালু ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে |
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, ২ যাত্রীর মৃত্যু
ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা
সোমবার সকালে কেতুগ্রামে ঘটে গেল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। এবারও অভিযোগের তির বাসচালকের বেপরোয়া গাড়ি চালনার দিকে। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কেতুগ্রামের দেবপুর গ্রামের দুই ব্যক্তির—সোমনাথ চোঙদার ও মোহাম্মদ টিপু সুলতানের।
চাকদা–কলকাতা রুটের এসবিএসটিসি বাসে সেদিন সকালেই উঠেছিলেন ওই দুই যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বাসটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল। ভিড়ের কারণে দুজনেই বসার সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে দরজায় ঝুলে যাচ্ছিলেন। বাস যখন চরখি নতুন টোল প্লাজার সামনে পৌঁছয়, তখন দ্রুতগতির কারণে খোলা দরজা গিয়ে ধাক্কা খায় গার্ডরেলে। মুহূর্তের মধ্যেই সোমনাথ এবং টিপু সুলতান সড়কে ছিটকে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় রক্তাক্ত দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতদের পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর বাসচালক গাড়ি থামাননি, বরং গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দ্রুত পালিয়ে যান। প্রায় আধঘণ্টা ধরে অসহায় অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন ওই দুই যুবক। স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়ে জানান, “যদি বাস কর্তৃপক্ষ যাত্রীসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করত, যদি দরজা বন্ধ রাখা হতো, তাহলে আজ দুটো প্রাণ এভাবে চলে যেত না।
ঘটনার পর গ্রামবাসী এবং মৃতদের পরিবার তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তাদের অভিযোগ, প্রতিদিন এই রুটে বাসচালকরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান, তবুও প্রশাসনের কোনও কড়া নজরদারি নেই। দোষী বাসচালকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকের মতে, সড়কে নিয়মিত নজরদারি ও বাস পরিষেবায় যাত্রীসুরক্ষা নিশ্চিত না হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে।