হাসপাতালে ভয়াবহ অবস্থা
একটানা বেড়ে চলেছে লেপ্টোস্পাইরোসিস বা ইঁদুর জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে আরও ১৫ জন সংক্রমিত। কয়েকদিন আগেই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৫৩-তে। এক লাফে তা বেড়ে হয়েছে ১৬৮। ফলে রাজগঞ্জের চেকর মারি গ্রামে রীতিমতো আতঙ্কের ছবি।
চিকিৎসার জন্য হুড়োহুড়ি চলছে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। পরিস্থিতি এমনই যে, একই বেডে তিনজন রোগীকে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ভিড়ে উপচে পড়ছে ওয়ার্ড, মেঝেতেও ঠাঁই মিলছে না বহু রোগীর।
তার উপর জন্ডিসের প্রকোপে নাজেহাল ওই গ্রাম এবং আশপাশের আরও অন্তত ৮টি গ্রাম। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য দফতরের কপালে চিন্তার ভাঁজ। রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
বিজেপির প্রাক্তন জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “একই বেডে দু’-তিন জন করে থাকতে হচ্ছে। মেঝেতেও শুতে হচ্ছে রোগীদের। এ দৃশ্য দেখলে যে কোনও মানুষের গা শিউরে উঠবে।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র সরাসরি প্রশাসনের সমালোচনায় বলেন, “মানুষ আর চুপ করে থাকবে না। প্রশাসন যে অপদার্থ, তা প্রমাণিত। আমরা জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছি।”
তবে পাল্টা সুরে তৃণমূল জেলা সম্পাদক বিকাশ মালাকার বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। রোগীদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। একটা বেডে একজন থাকছেন কি দুজন, সেটা বড় বিষয় নয়। চিকিৎসা তো পাচ্ছেন।”
তবে বাস্তব বলছে অন্য কথা। বেড়ে চলা সংক্রমণ, হাসপাতালের পরিকাঠামোর অভাব ও প্রশাসনের ঢিলেঢালা মনোভাব—সব মিলিয়ে জর্জরিত রাজগঞ্জবাসী। এখন প্রশ্ন, কবে মিলবে স্থায়ী সমাধান?