জিএসটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ মমতার
জিএসটি-তে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও কনট্রিবিউশন নেই ভাষণ দেওয়া ছাড়া। যোধপুর পার্ক ৯৫ পল্লীর পুজো উদ্বোধনে গিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকেই নতুন জিএসটি লাগু হচ্ছে দেশজুড়ে।
রবিবার নবরাত্রির প্রাক্কালে ও জিএসটি ২.০ লাগু হওয়ার পূর্বে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই নতুন জিএসটির উদ্দেশ্য, লাগু হলে কতোটা উপকৃত হবে মানুষ, সব নিয়ে আলোচনা করেন। উঠে আসে দেশে জিএসটি শুরুর ইতিহাসও।
একদিকে যখন প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে অর্থ সাশ্রয় উৎসবের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, অন্যদিকে তখন দুর্গাপুজো উদ্বোধনে ব্যস্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শত ব্যস্ততার মাঝেও তাঁর কান এড়িয়ে যায়নি প্রধানমন্ত্রীর কথা। তিনি সেই সূত্র ধরেই গেরুয়া শিবির ও কেন্দ্রকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, 'জিএসটি নিয়ে কেউ কেউ ভাষণ দিচ্ছেন, আমি একটাই কথা বলছি, ইন্সুরেন্স থেকে জিএসটি কমানো, এটা নিয়ে প্রথম আমিই কথা বলি। এর জন্য ক্রেডিট আমাদের, ভাষণ দিচ্ছে অন্য কেউ। লোকসান আমাদের হচ্ছে, কখনও সাইকেল দিই, ট্যাব দিই, কত কী দিই রাজ্যবাসীকে। তাও আমরা বলেছি, বিমার টাকা যেন না বাড়ে, শুধু এটার জন্য আমাদের লোকসান হচ্ছে ৯০০ কোটি টাকা।'
চার ধাপের বদলে জিএসটি দুধাপ হওয়ায় মেডিক্লেম-সহ একাধিক খরচ বাঁচবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও কনট্রিবিউশন নেই এক্ষেত্রে। টাকাটা কেটেছে রাজ্যের জিএসটি থেকে। বদলে ক্ষতিপূরণ মেলেনি। টাকাও আসেনি। তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, এমন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর সঙ্গে হলে মোটেও পরিস্থিতি এমন হত না। তারা নাকি ঘুরিয়ে ঠিক টাকা পেয়ে যেত।
সম্প্রতি একাধিক বিষয়ে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে, সেই বিষয়টিকেও এদিন কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, 'এখানে টিকটিক দৌড়ালেও একাধিক কমিটি চলে আসে। এদের চোখে ন্যাবা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ বা বিহারে কিছু হলে দেখতে পায় না। ন্যাবা মানে ডন্ডিস, এদেরও হয়েছে তাই। আমাদের রাজ্যবাসী যে বেনিফিট পাবে তার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা আমাদের লস হচ্ছে। এটা স্টেটের জিএসটি, সেন্ট্রালের নয়।'
সকলকে পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে আবারও মনে করিয়ে দেন, কেন্দ্র কীভাবে বিভিন্ন সুবিধা থেকে বাংলাকে বঞ্চিত রেখেছে। বলেন, 'মানুষের ভাল হলে খুশি হই আমি। কিন্তু আমাদের টাকাগুলো দাও। আমাদের তো টাকা পয়সা মাসের হিসাব থাকে। গুছিয়ে করতে হয়। সংসার থেকে যদি সব টাকাই কেটে নেওয়া হয়, তাহলে কী হবে। কাটল টাকা আমাদের, প্রচার করছে ওরা।'
মুখ্যমন্ত্রী সত্যি বলেন তাই বিরোধী শিবিরের অনেকেই তাঁকে পছন্দ করেন না বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। ওঠে বাঙালিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের প্রসঙ্গও।