রেস্তরাঁয় ইডি হানা দিতেই বললেন মন্ত্রী সুজিত বসু
সল্টলেকের অফিস, সাউথ দমদমের গোলাঘাটার বেঙ্গল ধাবা, কোনও কিছুই বাদ নেই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুকে (Sujit Bose) স্ক্যানারে রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। পাশাপাশি নাগেরবাজার এলাকায় এক কাউন্সিলরের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। ঠনঠনিয়ার একটি বাড়িতেও গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। তল্লাশি চলছে শরৎ বোস রোড, নিউ আলিপুরের একাধিক ঠিকানাতেও। যদিও ইডির এই অভিযানকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না সুজিত (Kolkata ED Raid)।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, "ভোটের আগে আগেই এরকম অভিযান হয়। বেশি হয় যারা দলে অ্যাক্টিভলি কাজ করেন তাঁদের বাড়ি-অফিসে। দক্ষিণ দমদম পৌরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নিয়ে আগেও তল্লাশি হয়েছে। বাড়িতে এসেছে। কিছু তো পায়নি। আবার আসছে। আমার মনে হয়, এই জায়গাটা বিশেষ করে টার্গেট করছে। কারণ এখানে ওদের লোকজন কিছু নেই। ওরা ওদের মতো কাজ করুক।"
সকাল ৬টা নাগাদ নানা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
চলছে লেকটাউনে নিতাই দত্তর বাড়িতেও গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, সুজিত বসু দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই নিতাই দত্ত তাঁর আপ্ত সহায়ক ছিলেন।
নাগেরবাজারে এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট দীপক দে এবং কাঁকুড়গাছিতে এক অডিটর সঞ্জয় পোদ্দারের বাড়িতেও চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে যে সব কোম্পানির নাম উঠে এসেছে, তাদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই সব ব্যক্তির নামও। সেই সূত্রেই তাঁরাও এখন ইডির আতশ কাচের তলায়।
বস্তুত, বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারির সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "যদি মনে করেন, এজেন্সিকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবেন, উই আর রেডি টু রিঅ্যাকশন।" মুখ্যমন্ত্রীর (CM) সেই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতার (Kolkata) ১০টি জায়গায় ইডির অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল (TMC)।