রক গার্ডেন খুললেও বন্ধ সান্দাকফু, মনখারাপ পর্যটকদের
উৎসবের ছুটিতে অনেকেই পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গাতে বেড়াতে যান! কিন্তু গত শনি এবং রবিবার ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পাহাড়ের। বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস, ভেঙেছে রাস্তা। এখনও স্বাভাবিক নয় পরিস্থিতি। এর মধ্যেই পাহাড়মুখী পর্যটকরা। সোমবারই দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল, রক গার্ডেন-সহ পাহাড়ের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে সান্দাকফু। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে পাহাড়ে বেড়াতে গেলে সান্দাকফু বেড়াতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে পর্যটকদের।
এই মরশুমে অনেকে সান্দাকফু বেড়াতে যান। পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় ডেস্টিনেশন এটি। বহু মানুষ ভিড় জমান। কিন্তু দুর্যোগে যেভাবে রাস্তা ভেঙেছে তাতে সেখানে পৌঁছানো খুবই কঠিন। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা! পর্যটকদের এবং চালকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই সান্দাকফু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে, ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশন এবং এসএসবি-র সদস্যরা সান্দাকফুর বিভিন্ন স্থানে রাস্তা নির্মাণের কাজ করছেন। ফলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সান্দাকফু বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। এরপরেই অনেক পর্যটক ফিরে আসছেন বলেই খবর।
বলে রাখা প্রয়োজন, ভূমিধসে বিধ্বস্ত পাহাড়ে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য রবিবার দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল,রক গার্ডেন ভ্রমণে জিটিএ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও সোমবার সবই খুলে দেওয়া হয়। সোমবার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হতে পর্যটকরা ফের দার্জিলিংমুখী হতে শুরু করেছেন । ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলো সূত্রে জানা গিয়েছে, আতঙ্ক কাটিয়ে পর্যটকরা আবারও দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে পৌঁছেছেন। তবে রবিবার ভূমিধসের জেরে যারা আটকে পড়েছিলেন তাদের মধ্যে যে আতঙ্ক নেই তেমনটা নয়। অনেকেই ভ্রমণ সূচি কাটছাট করে শিলিগুড়িতে নামছেন। দ্রুত নিরাপদ জায়গাতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে বিমান ভাড়া আকাশছোঁয়া। এক্ষেত্রে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।