সংসদে হুঙ্কার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জন বা SIR নিয়ে ফের একবার সরব তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কার্যত হুঙ্কার দিয়ে বললেন, “দুই কোটি ভোটার বাদ দেওয়া তো দূর অস্ত, দু’জনের নাম বাংলায় বাদ দিয়ে দেখাক, বুঝিয়ে দেব কত ধানে কত চাল।”
এ দিন সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচন কমিশন যে এসইআর শুরু করেছে, যাকে বলছেন স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন, তা আসলে হল সাইলেন্ট ইনভিসিবল রিগিং, যেটা ইলেকশন কমিশন শুরু করেছে বিজেপির পক্ষে। যারা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলে, সেই নাগরিকদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। বাংলায় এসব করে লাভ হয়নি, বিহারেও মানুষ জবাব দেবেন বলে আশা করছি। বাংলার মানুষের সঙ্গে বিমাত্রিসুলভ আচরণ ২০২১ সাল থেকে দেখছি। আগে টাকা আটকে দিয়েছে, এবার ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। তারা জানে মানুষ ভোট দিলে বিজেপির বিপক্ষে ভোট দেবে।”
অভিষেক আরও বলেন, “কোনও SIR হল না, আগেই বিজেপি নেতারা বলে দিচ্ছে বাংলা থেকে দু কোটি ভোটার বাদ যাবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ এর পর কী করেছেন তা আর বলছেন না। ৯০ মিনিটের ভাষণে ২০০ বার প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়েছে।”
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হামলার জন্য দায়ী কে? আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে দায়ী করেন, বলেন বর্ডার থেকে লোক ঢোকান। জম্মু-কাশ্মীর বর্ডার কার হাতে? জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ কার হাতে? বাংলাদেশ বর্ডার থেকে কার ব্যর্থতায় অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকেছে? কে ঢুকিয়েছে?”
তিনি আরও বলেন, “এই নরেন্দ্র মোদী বলতো ২০১৪ এর আগের রিমোট কন্ট্রোল সরকার। মনমোহন সিং কে দশ জনপথ থেকে পরিচালনা করা হয়। আরে তখন তো অন্তত রিমোট কন্ট্রোলটা দিল্লিতে ছিল। এখন ভারতের রিমোট কন্ট্রোলটা ওয়াশিংটনে রাখা আছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী কেউ বলছে না ডোনাল্ড ট্রাম্প যা বলেছে তা মিথ্যে। এত দুর্বল সরকার ভারতবর্ষের মানুষ দেখেনি। মজবুত সরকার নয়, মজবুর সরকার। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সরকার মজবুর হয়ে গেছে।”