কল্যাণকে শান্ত করা গেল? ঘণ্টাখানেক কথা হল অভিষেকের সঙ্গে
কথা বলবেন জানিয়েছিলেন। সেই মতো শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী দিল্লিতে দু’জনের বৈঠক হয়। ঘণ্টাখানেকের বেশি এই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য কেউ মুখ খোলেননি। কল্যাণ শুধু বললেন, “খুব ভাল আলোচনা হয়েছে।”গত কয়েকদিনে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে কল্যাণের দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। গত সোমবার (৪ অগস্ট) দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কারও নাম নিয়ে নিয়েই তিনি বুঝিয়ে দেন, দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না।
ওই বৈঠকের পরই লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ। মহুয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সেইসময় কল্যাণকে ফোন করেছিলেন অভিষেক। সূত্রের খবর, কল্যাণ শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনদিন তাঁকে মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব পালনের বার্তাও দেন। সেইসময় কল্যাণ জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে এসে তাঁর কথা শুনবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। তবে অভিষেকের সঙ্গে কল্যাণের বৈঠকের আগেই মুখ্য সচেতক পদে শ্রীরামপুরের সাংসদের ইস্তফা গ্রহণ করে তৃণমূল। মুখ্য সচেতক করা হয় কাকলি ঘোষদস্তিদারকে।
গতকাল তৃণমূলের লোকসভার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ই অভিষেক জানিয়েছিলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। সেই মতো শ্রীরামপুরের সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, গতকাল লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বাসভবনে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে কল্যাণের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। এক ঘণ্টার বেশি এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউই। শ্রীরামপুরের সাংসদ শুধু বললেন, “সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভাল আলোচনা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলব না।” তাঁর ক্ষোভ কমেছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কিছু বলতে চাইলেন না। গত কয়েকদিনে কল্যাণ যেভাবে মুখ খুলছিলেন, এই বৈঠকের পর বরফ গলল কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।