মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে পুজোয় অন্য মেজাজে অভিষেক
তিনি রাজনীতিক। রাজ্যের শাসকদলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে দুর্গাপুজোয় একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মেয়ে আজানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একাধিক পুজো মণ্ডপে গেলেন। আর নাগেরবাজারে জপুর জয়শ্রী পুজো মণ্ডপে এসে সকলের সঙ্গে জমিয়ে ফুচকাও খেলেন।অষ্টমীতে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় উপচে পড়েছে। পুজোর আমেজে এদিন দেখা গেল তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেককেও। মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে একাধিক পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। রাস্তায় সাধারণ মানুষের উদ্দেশে হাত নেড়ে তাঁদের অভিবাদন জানালেন।
নাগেরবাজারে জপুর জয়শ্রী পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করেন অভিষেক। এ বছর এই পুজো মণ্ডপের থিম ‘ভিনরাজ্যে হেনস্থার মুখে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা’। এই পুজো মণ্ডপে অভিষেকের সঙ্গে দেখা যায় দমদমের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়কে। ছিলেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ, রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভার বিধায়ক অদিতি মুন্সি। সেখানে উপস্থিত পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে উপহার তুলে দেন। এই পুজো মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ফুচকা খান অভিষেক। হাতে শালপাতা নিয়ে জমিয়ে ফুচকা খেতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর বাগুইআটি বন্ধুমহল সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
পুজো মণ্ডপ পরিদর্শনের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেক লেখেন, “মহাষ্টমীর শুভ মুহূর্তে আজ দমদম নাগেরবাজার জ’পুর জয়শ্রী দুর্গাপুজো মণ্ডপ এবং বাগুইআটি আশ্বিনী নগর বন্ধু মহল দুর্গাপুজোর মণ্ডপ পরিদর্শন করলাম। সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর যে অমানবিক অত্যাচার, নির্যাতন চলছে এবং বাংলা ভাষাভাষী মানুষের যেভাবে অপমান করা হচ্ছে, তা তুলে ধরা হয়েছে এই দুটি মণ্ডপে। পরিদর্শনের পাশাপাশি ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বার্তালাপ করেছি এবং পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি। শুভদিনে তাঁদের হাতে পুজোর উপহার তুলে দিলাম আজ।”