মঙ্গলবার থেকে আবার নতুন খেলা শুরু আবহাওয়ার
অবশেষে বৃষ্টির হাত থেকে মুক্তি। সেই কবে থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তারপর কাঁদিয়ে ছেড়েছে। অবশেষে শুরু হয়েছে বর্ষা বিদায়ের পর্ব। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, বর্ষা বিদায় নিতেই শুরু হয়ে যাবে শুষ্ক খেলা। অর্থাৎ শীতের মধ্যে মরশুম যে শুরু হচ্ছে তা বলাই যায়।আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্ষা আপাতত রয়েছে রক্সৌল জব্বলপুরে। আগামী দু তিন দিনের মধ্যে বিদায় নেবে। এরপর ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড থেকেও বর্ষা বিদায় নেবে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, সিকিম, তেলেঙ্গানা থেকেও বর্ষা চলে যেতে শুরু করেছে।
তবে জানা যাচ্ছে, সাগরে কিন্তু এখনও অবস্থান করছে ঘূর্ণাবর্ত। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কেরালা উপকূলে রয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। আবার দক্ষিণ বাংলাদেশের উপরও রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তবে এদের প্রভাব বাংলার উপর কতটা পড়বে তা এখনও জানা যায়নি।
আজ রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে। তবে সব জেলাতেই জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে। স্থানীয়ভাবে দু’এক জায়গায় সামান্য সময়ের জন্য বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। যদি বৃষ্টি হয়ও তাহলে ভিজতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবারও পূর্বাভাস একই। স্বল্প বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়গ্রাম,পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। বাকি জেলায় শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা।মঙ্গলবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গে। বাঁকুড়া,পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম জেলা থেকে বর্ষা বিদায় নিতে পারে বুধবারের মধ্যে।
অপরদিকে কলকাতায় পরিষ্কার আকাশ। কখনো আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদিও বা বৃষ্টি হয় তাহলে তা হবে স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে।
আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৭৩ থেকে ৯৫ শতাংশ।