শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণের মন্তব্যে কীসের ইঙ্গিত
এসআইআর (SIR) ইস্যুতে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। এমন আবহে বিজেপি এবং তৃণমূল (BJP, TMC) নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য শোনালেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। সেই সূত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) এক আসনে বসালেন তিনি।
কল্যাণের কথায়, দল টিকে থাকে নেতার আস্থায়। আর সেই জায়গায় বিজেপিতে নরেন্দ্র মোদী যেমন, তৃণমূলে ঠিক তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মন্তব্যের প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে সংবাদমাধ্যমকে কল্যাণ বলেন, “যতদিন মোদী রয়েছেন, পদ্মফুল ফুটবে। মোদী চলে গেলে পদ্মফুলও উধাও। আর আমাদের মমতাদি—যতদিন তিনি আছেন, ততদিন কিছুই করতে পারবে না কেউ। দল চলে ওনার নামেই।”
কল্যাণের এই বক্তব্য অবশ্য নতুন নয়। আগেও তিনি বলেছিলেন, “আমার নেত্রী একজনই—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে পরে আর কাউকে দেখি না।”
তৃণমূলের ভিতরে নবীন–প্রবীণ সমীকরণ নিয়ে তর্ক-আলোচনা নতুন কিছু নয়। কখনও তা প্রকাশ্যে তর্কে, কখনও নীরব অস্বস্তিতে। একসময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই দলে বয়সসীমার প্রস্তাব এনে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই সময়েই দলের ভিতরে বয়সভিত্তিক বিভাজন যেন আরও বেশি প্রকট হয়েছিল।
কিন্তু কল্যাণ বরাবরই ‘প্রবীণপন্থী’, এ দিনের মন্তব্য তা আরও একবার স্পষ্ট করল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। অভিষেকের জন্মদিনে ট্রাম্পের জয়কে সামনে এনে তিনি যে বার্তা দিয়েছিলেন, “রাজনীতিতে বয়স নয়, অভিজ্ঞতায় বড়”, সেই সুরই যেন ফের শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কল্যাণের মন্তব্য শুধুই ব্যক্তিগত মত নয়, দলের ভেতরের একাংশের বক্তব্যকেও যেন সামনে আনল। এখন দেখার, তাঁর এই ‘ইঙ্গিত’ এ নবীন–প্রবীণ সমীকরণে নতুন বিতর্ক তৈরি করে কিনা।