বাংলায় এসআইআর হবে?
বাংলায় কি হবে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন (Special Intensive Revision বা SIR)? রবিবার এ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলায় বা অন্য কোনও রাজ্যে এসআইআর হবে কি না, কবে হবে সেটা তিন কমিশনার মিলে উপযুক্ত সময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কুমার বলেন, “আমরা তিন কমিশনার একসঙ্গে বসে উপযুক্ত সময়ে সিদ্ধান্ত নেব, বাংলায় বা অন্য রাজ্যে কবে এসআইআর হবে। সময়মতো সেই ঘোষণা করা হবে।”
এর আগে জুলাই মাসে কমিশন (Election Commission) প্রকাশ করেছিল বাংলায় শেষ এসআইআরের তথ্য। ২০০২ সালে হওয়া সেই সংশোধনীর নথি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। তাতে রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে ১১টির তথ্য ছিল— কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া। এতে ধরা হয়েছিল ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০৩টির তথ্য।
তবে এসআইআরের বিরোধিতায় সরব হয়েছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, বিহারে যেমন করা হয়েছে, বাংলায়ও এসআইআর আসলে এনআরসি-র অজুহাত। গত ২১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, বাংলায় তিনি কোনও ভাবেই এসআইআর হতে দেবেন না। বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, “কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে দেবেন না, কাউকে অকারণে হয়রানি করবেন না।”
রাজ্যে পরবর্তী বিধানসভা ভোট ২০২৬ সালে। কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘিরে এখনই রাজনীতির পারদ চড়ছে। বাংলায় আসন্ন সময়ে নতুন করে ভোটার তালিকা সংশোধন হবে কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।