দিল্লিতে বিপদসীমা ছাড়াল যমুনা নদী
দিল্লির যমুনার জলস্তর (Delhi Yamuna River) রবিবার সকালে বিপদসীমা (Water Lavel) অতিক্রম করেছে। শহরে সতর্কবার্তার (Warning) চিহ্ন ২০৪.৫০ মিটার, বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার, আর ২০৬ মিটারে পৌঁছলেই শুরু হয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া। বর্তমানে যমুনার জল ২০৫.৩৩ মিটারের উপরে, যা লাগাতার বৃষ্টির (Heavy Rain) ফলে ক্রমশ বাড়ছে।
আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে মেঘলা আকাশ ও মাঝারি বৃষ্টি চলবে। ৩ সেপ্টেম্বর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আর ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি বা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত চলবে বলে জানানো হয়েছে।
এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ময়ূর বিহারে বানভাসীদের জন্য ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। নদীর ধারে বসবাসকারীদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘‘জলবন্দি হলে আশ্রয়ের জন্য এই তাঁবুগুলি তৈরি রাখা হয়েছে।’’
অন্য দিকে, প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। সড়ক যোগাযোগ থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ও জলের পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটেছে। রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতরের হিসেব অনুযায়ী, মৌসুমি বৃষ্টি শুরুর পর (২০ জুন থেকে) এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩২০ জন। এর মধ্যে ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ধস, আকস্মিক বন্যা বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১৫৪ জন।
বর্তমানে রাজ্যের ৮৩৯টি রাস্তা, ৭২৮টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার এবং ৪৫৬টি জল সরবরাহ প্রকল্প অচল হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা চম্বা (২৮৬ রাস্তা, ৩৬৩ ট্রান্সফরমার, ৯৩ জল প্রকল্প), মাণ্ডি (১৯৭ রাস্তা, ১২৩ ট্রান্সফরমার, ৫৬ জল প্রকল্প) ও কুল্লু (১৭৫ রাস্তা, ২২৫ ট্রান্সফরমার)। তিনটি জাতীয় সড়কও (এনএইচ-০৩, এনএইচ-০৫ ও এনএইচ-৩০৫) আপাতত বন্ধ।
এসইওসি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। তবে অবিরাম বৃষ্টি ও দুর্গম পাহাড়ি ভূখণ্ডের কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে।
আবার, পঞ্জাবে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই এক হাজারেরও বেশি গ্রাম জলের তলায়। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ হাজার বাসিন্দাকে জলমগ্ন এবং বিপজ্জনক এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃষ্টি এবং বন্যার জেরে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। তার মধ্যে পঠানকোটে আট জন, হোসিয়ারপুরে সাত, রূপনগর এবং বারনালায় তিন জন করে, গুরদাসপুরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।