ব্রেকফাস্টে রোজ ডিম-টোস্ট খাচ্ছেন? ছোটখাটো বদল আনুন, তেলে ভাজা এই রেসিপিই হবে স্বাস্থ্যকর |
সচিনের ১৪ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন বিরাট, সাজঘরে তেতে উঠলেন রোহিত! দেখুন ভিডিও
সচিনের ১৪ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন বিরাট
সেঞ্চুরি হাঁকালেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। কেরিয়ারে ৫২'তম ওয়ান ডে শতক। চার মেরে ১০০ পেরতেই লাফিয়ে উঠলেন। এত পাম্পড আপ কোহলিকে শেষ কবে দেখা গিয়েছে, অনুরাগীদের মাথায় আসছে না! প্রথমবার আইপিএল জেতার পরেও এতটা উজ্জীবিত ছিলেন না তিনি, যতটা উচ্ছ্বসিত দেখালেন আজ, রাঁচির ময়দানে।
কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও ভক্তদের নজর কাড়লেন অন্য একজন—রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)! নিজে সেঞ্চুরি পাননি৷ হাফসেঞ্চুরিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। তবু দীর্ঘদিনের সতীর্থ মাইলস্টোন পেরতেই হাততালি দিলেন আগ্রাসী মেজাজে। তেতে উঠলেন৷ বিড়বিড় করে বলেও উঠলেন কিছু (ঠোঁটের কম্পন পড়ে মর্মার্থ বুঝতে চাইলে বিপদ!)।
কোহলির (Virat Kohli) এই সেঞ্চুরি অবশ্য শুধু দিনের নয়, ইতিহাসের পাতাতেও জায়গা করে নিয়েছে। সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) ৫১ টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড টপকে একক ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি শতকের মালিক এখন বিরাট—৫২ ওডিআই সেঞ্চুরি তাঁর দখলে। মারকো জানসেনকে (Marco Jansen) পুল করে চার মারতেই তৈরি হল নজির। পুরো স্টেডিয়াম দাঁড়িয়ে হাততালি দিল। সাজঘর থেকে উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানালেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)।
এদিন রোহিত (Rohit Sharma) নিজের ইনিংসেও ইতিহাস লিখেছেন। জানসেনের ছোট লেংথ থেকে টানা ছক্কা মেরে পেরিয়ে গেলেন শহিদ আফ্রিদির (Shahid Afridi) ৩৫১ ওভার বাউন্ডারির রেকর্ড। এখন ওডিআই-এ সর্বকালের সর্বাধিক ছক্কাধারী ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। ৫৭ রানের পর এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেও, রেকর্ডের দিক থেকে দিনটা তাঁর। প্রথম দিকে টনি ডি জরজি (Tony de Zorzi) ক্যাচ ফেলেছিলেন—তার পরই ছন্দ ফিরে পান রোহিত।
দু’জন মিলে তুলেছেন ১৩৬ রান। আগের মতোই, একজন আক্রমণাত্মক খেলছেন, অন্যজন গতি ধরে রেখেছেন—এই পরিচিত জুটি আজও দক্ষিণ আফ্রিকা বোলিংকে চাপে রাখে। বিরাট একদম শুরু থেকেই ঝরঝরে স্ট্রোক খেলতে থাকেন। কভার ড্রাইভ, লং-অফে ছক্কা—সবেতেই আত্মবিশ্বাস। অন্যদিকে রোহিত সময় নিয়ে সেট হয়ে হাত খোলেন।
যশস্বী জয়সওয়াল দ্রুত শুরু করেও বার্গারের (Nandre Burger) বলে আউট হয়ে আউট হন। এরপর নামেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। কিন্তু তাঁকেও টিকতে দেয়নি ব্রেভিসের (Dewald Brevis) একহাতি ডাইভিং ক্যাচ। চাপের মুহূর্তে ওভারে এসে ভুল শটে আউট হন ওয়াশিংটন সুন্দর (Washington Sundar)।
শেষ দিকে ইনিংসকে গতি দেন কেএল রাহুল (KL Rahul)। মন্থর শুরু হলেও শেষ ৬-৭ ওভারে গতি বাড়ান। তাঁর ৬০ রানের ইনিংস টিম ইন্ডিয়ার স্কোর ৩৪৯-এ নিয়ে যায়। শেষের দিকে রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja) ৩২ রান যোগ করেন। আজ রাঁচির পাটা পিচে বল ব্যাটে এসেছিল মসৃণভাবে। এখন দেখার, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা কি এই লক্ষ্য চেজ করতে পারেন, নাকি ভারতের বোলাররাই (India bowlers) কেড়ে নেন সমস্ত আলো!